Department of Microbiology
মাইক্রোবায়োলজি বা অনুজীব বিজ্ঞান জীব বিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা। যেখানে অনুজীব বা খালি চোখে দেখা যায়না এমন ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জীব নিয়ে আলোচনা করা হয়। আর এই সমস্ত অনুজীবের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত আছে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, প্রটোজোয়া ইত্যাদি। মাইক্রোবায়োলজি বা অনুজীব বিজ্ঞানের মাধ্যমে বিজ্ঞান এবং বিশেষত চিকিৎসার ক্ষেত্রে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে কোভিড-১৯ ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার অনুজীব বিজ্ঞানীদের একটি অন্যতম সেরা সাফল্য। স্বাস্থ্য বা চিকিৎসা ক্ষেত্রের পাশাপাশি খাদ্য ও কৃষি ক্ষেত্রেও মাইক্রোবায়োলজির অপরিসীম গুরুত্ব রয়েছে। এ বিষয়ের জ্ঞান পেশাগত জীবনে বহুমুখী ক্যারিয়ারের উজ্জ্বল সম্ভাবনা তৈরি করে।
চাকুরির ক্ষেত্রসমূহ:
☞বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) জেনারেল ক্যাডারে মাইক্রোবায়োলজি স্নাতকদের সুযোগ প্রদান করছে।
☞খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষে খাদ্য বিশ্লেষক, নিরাপদ খাদ্য অফিসার, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, গবেষণা কর্মকর্তা, মনিটরিং অফিসার ইত্যাদি পদে চাকুরির সুযোগ রয়েছে।
☞দেশের সরকারি বিভিন্ন গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান যেমন: বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন (BAEC), বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (BCSIR), বাংলাদেশ স্ট্যান্ডডার্স এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (BSTI), ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি (NIB) ইত্যাদিতে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসাবে চাকুরির সুযোগ রয়েছে।
☞কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সুযোগ রয়েছে।
☞বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি যেমন: স্কয়ার, ইনসেপ্টা, বেক্সিমকো, এসিআই, একমি, অপসোনিন, নোভিস্টা, পপুলার ইত্যাদিতে মাক্রোবায়োলজিস্ট, কোয়ালিটি কন্ট্রোল অফিসার সহ অন্যান্য পদে যোগদানের সুযোগ আছে।
☞বিভিন্ন খাদ্য ও পানীয় ইন্ডাস্ট্রি যেমন: স্কয়ার, আকিজ ফুড এন্ড বেভারেজ, কোকাকোলা (বাংলাদেশ শাখা), প্রাণ, একমি ইত্যাদিতে কোয়ালিটি কন্ট্রোল অফিসার মাইক্রোবায়োলজিস্ট সহ অন্যান্য পদে চাকুরির সুযোগ।
☞দেশে সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি মাইক্রোবায়োলজিস্ট দের আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান যেমন: ICDDRB, WHO, FDA, CHRF, সেন্টার ফর ডিসেজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন ইত্যাদিতে চাকুরীর সুযোগ রয়েছে।
☞বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ল্যাব, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, স্বাস্থ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট ইত্যাদিতে চাকুরির ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।
☞এছাড়া মাইক্রোবায়োলজিতে স্নাতক শেষ করার পর বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও গবেষনার উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে।
-
- ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির ক্ষেত্রে ২০১৫ ও তৎপরবর্তী বছরের এস. এস. সি./সমমানের পরীক্ষায় কৃতকার্য শিক্ষার্থীরা এবং ২০১৯ ও তৎপরবর্তী বছরের এইচ. এস. সি./সমমানের পরীক্ষায় কৃতকার্য শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে।
- পরীক্ষার্থীকে পদার্থ, রসায়ন ও জীববিদ্যা বিষয়সহ এইচ. এস. সি./সমমানের পরীক্ষায় কৃতকার্য হতে হবে।
- বিজ্ঞান বিভাগ হতে এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ ৩.৫০ করে সর্বমোট জিপিএ ৭.৫০ থাকতে হবে।
- ডিপ্লোমা হতে পাশকৃত শিক্ষার্থীদের জন্য ৪.০ স্কেলকে ৫.০ স্কেলে রূপান্তর করে যোগ্যতা নির্ধারণ হবে।