Department of Fisheries
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে মাছের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। প্রানীজ আমিষের চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে মৎস্য খাত জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মাছের উৎপাদন, প্রজনন ও সংরক্ষণ, মৎস্য রোগতত্ত্ব সহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর পড়াশুনা এবং গবেষণার সুযোগ রয়েছে ফিশারীজ সায়েন্সে। বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম মৎস্য উৎপাদনকারী দেশ এবং ২০২০ সালে মিঠাপানির মৎস্য উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে। বাংলাদেশ বিশ্বের একমাত্র দেশ যা ৮৬% মৎস্য একাই সরবরাহ করে। এটা সম্ভব হয়েছে মৎস্য গবেষক ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের অবদানের কারনে ও উপযুক্ত মৎস্য বিজ্ঞানী, মৎস্য গবেষক তৈরীর উদ্দেশ্যে মৎস্য সেক্টরের গুরুত্ব অনুধাবন করে বিভিন্ন সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এবং বায়োসায়েন্স ইনস্টিটিউটে চালু করা হয়েছে ফিশারিজ বিভাগ।
চাকুরির ক্ষেত্রসমূহ:
☞বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) জেনারেল ও টেকনিক্যাল ক্যাডারে ফিশারিজ বিভাগের স্নাতকদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ রয়েছে।
☞কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সুযোগ রয়েছে।
☞সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেমন: ব্যাংকে কর্মকর্তা হিসাবে চাকুরির সুযোগ রয়েছে।
☞বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ বিভিন্ন দপ্তর/অধিদপ্তর যেমন: ফিশারীজ বিভাগের স্নাতকদের চাকুরির সুযোগ রয়েছে। যেমন: মৎস্য অধিদপ্তর, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা কেন্দ্র (BFRI), বাংলাদেশ মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্র (BFDC), ফিশারীজ ও ফিশারীজ সংশ্লিষ্ট একাডেমী ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেফিশারীজ বিভাগের স্নাতকদের চাকুরির সুযোগ রয়েছে।
☞বিভিন্ন এনজিও যেমন: ব্র্যাক, প্রশিকা, গ্রামীণ ব্যাংক, টিএমএসএস ইত্যাদিতে চাকুরির সুযোগ রয়েছে।
☞বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা যেমন: World Fish Center, UNDP, CARE, FAO ইত্যাদিতে চাকুরির সুযোগ রয়েছে।
☞ব্যক্তি পর্যায়ে গড়ে ওঠা মৎস্য খামার, হ্যাচারী, মৎস্য খাদ্য শিল্প , মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প ইত্যাদিতে কাজের সুযোগ রয়েছে।
☞সরকারী অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্প ও প্রোগ্রাম সমূহে এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প ও প্রোগ্রাম সমূহে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
-
- ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির ক্ষেত্রে ২০১৫ ও তৎপরবর্তী বছরের এস. এস. সি./সমমানের পরীক্ষায় কৃতকার্য শিক্ষার্থীরা এবং ২০১৯ ও তৎপরবর্তী বছরের এইচ. এস. সি./সমমানের পরীক্ষায় কৃতকার্য শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে।
- পরীক্ষার্থীকে পদার্থ, রসায়ন ও জীববিদ্যা বিষয়সহ এইচ. এস. সি./সমমানের পরীক্ষায় কৃতকার্য হতে হবে।
- বিজ্ঞান বিভাগ হতে এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ ৩.৫০ করে সর্বমোট জিপিএ ৭.৫০ থাকতে হবে।
- ডিপ্লোমা হতে পাশকৃত শিক্ষার্থীদের জন্য ৪.০ স্কেলকে ৫.০ স্কেলে রূপান্তর করে যোগ্যতা নির্ধারণ হবে।