Department of Agriculture
কৃষি নির্ভর অর্থনীতির কারনে বাংলাদেশে কৃষি বিষয়ে উচ্চ শিক্ষার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কৃষি ব্যবস্থাকে আধুনিক ও লাভজনক করার জন্য কৃষিবিদ, কৃষি বিজ্ঞানী, নীতি বিশেষজ্ঞ, সম্প্রসারণ কর্মীসহ সবাই সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসছেন। খাদ্য উৎপাদনে বর্তমানে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং জিডিপিতে কৃষির অবদান ১৯.৬%। জাতীয় উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, কৃষিপণ্য সরবরাহ, প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ, বিপণন, কৃষির ডিজিটালাইজেশন ইত্যাদি বর্তমান কৃষির অন্যতম লক্ষ্য। কৃষির গুরুত্ব উপলব্ধি করেই বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একাধিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কৃষি নির্ভর বিভিন্ন বায়োসায়েন্স ইনস্টিটিউট যেখানে কৃষিতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ রয়েছে। প্রতিটি সেমিস্টারে তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক কোর্সের সাথে একাডেমিক ট্যুর শিক্ষার্থীদের অর্জিত জ্ঞানের সাথে প্রায়োগিক দিকের সমন্বয় ঘটায়। এ বিভাগটির অন্যতম লক্ষ্য হলো কৃষি প্রযুক্তি ও কৃষি বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক জ্ঞান প্রদানের মাধ্যমে উচ্চ যোগ্যতা সম্পন্ন কৃষিবিদ যোগান দিয়ে ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে অগ্রনী ভূমিকা রাখা।
চাকুরির ক্ষেত্রসমূহ:
☞বি এসসি এজি. (অনার্স) ডিগ্রি অর্জনের মাধ্যমে বিসিএস জেনারেল ক্যাডারের পাশাপাশি টেকনিক্যাল ক্যাডারের আওতায় জেলা/উপজেলা গুলোতে “কৃষি কর্মকর্তা’’ হিসেবে যোগদানের সুযোগ রয়েছে।
☞বিভিন্ন সরকারী ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা পদে চাকুরীর সুযোগ রয়েছে।
☞কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সুযোগ রয়েছে।
☞কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দেশের সরকারী কৃষি ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান যেমন: BARI, BRRI, RDA, BADC, BINA, BWMRI, KGF, BJRI, HRC, BCDB, BFRI ইত্যাদিতে “বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা” হিসেবে যোগদানের সুযোগ রয়েছে।
☞কৃষিভিত্তিক বিভিন্ন কোম্পানী যেমন: এসিআই লিমিটেড, ফ্লোরা,সিনজেন্টা, লালতীর সীড কোম্পানি লিমিটেড, বায়ার, নিউহোপ এগ্রোটেক ইন্ডাস্ট্রি ইত্যাদিতে কর্মকর্তা পদে চাকুরীর সুযোগ রয়েছে।
☞বিভিন্ন এনজিও যেমন-ব্র্যাক, আশা, প্রশিকা, পল্লী উন্নয়ন সহায়ক ফাউন্ডেশনে চাকুরীর সুযোগ রয়েছে।
☞বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা যেমন: আন্তর্জাতিক ধান গবেষনা ইনস্টিটিউট (IRRI), জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO), আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল, কেয়ার ইত্যাদিতে যোগদানের সুযোগ রয়েছে।
-
- ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির ক্ষেত্রে ২০১৫ ও তৎপরবর্তী বছরের এস. এস. সি./সমমানের পরীক্ষায় কৃতকার্য শিক্ষার্থীরা এবং ২০১৯ ও তৎপরবর্তী বছরের এইচ. এস. সি./সমমানের পরীক্ষায় কৃতকার্য শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে।
- পরীক্ষার্থীকে পদার্থ, রসায়ন ও জীববিদ্যা বিষয়সহ এইচ. এস. সি./সমমানের পরীক্ষায় কৃতকার্য হতে হবে।
- বিজ্ঞান বিভাগ হতে এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ ৩.৫০ করে সর্বমোট জিপিএ ৭.৫০ থাকতে হবে।
- ডিপ্লোমা হতে পাশকৃত শিক্ষার্থীদের জন্য ৪.০ স্কেলকে ৫.০ স্কেলে রূপান্তর করে যোগ্যতা নির্ধারণ হবে।